গরুর দুধের স্বরের ঘি
৳ 800 – ৳ 1,500
ঘির স্বাস্থ্য উপকারিতা
- হজম শক্তি বাড়ায়: ঘি হজম শক্তি বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
- ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী: ঘি ত্বককে ময়শ্চারাইজ করে এবং চকচকে রাখে। এটি ত্বকের বয়সজনিত সমস্যা রোধ করে।
- শরীরকে শক্তিশালী করে: ঘিতে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরকে দীর্ঘস্থায়ী শক্তি সরবরাহ করে।
- মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী: ঘিতে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কের কোষগুলোকে সুস্থ রাখে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: ঘিতে থাকা ভিটামিন এবং মিনারেল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
ঘি’র ব্যবহার
ঘি রান্নায় বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা হয়:
- ভাজা: ঘিতে ভাজা খাবার সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর হয়।
- রান্না: ঘি দিয়ে রান্না করা খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে তোলে।
- রুটির উপর লাগানো: রুটির উপর ঘি লাগিয়ে খেলে সুস্বাদু হয়।
- আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায়: ঘি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
ঘি: পুষ্টি ও স্বাদের এক অপরিহার্য উপাদান
ঘি প্রাচীনকাল থেকেই উপমহাদেশের রান্নার ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি শুধু স্বাদ বাড়ানোর জন্য নয়, বরং স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্যও অত্যন্ত জনপ্রিয়। ঘি তৈরি হয় মূলত মাখন বা দুধের সর থেকে। এটি রান্নার পাশাপাশি পুষ্টির চাহিদা পূরণে অসাধারণ ভূমিকা রাখে।
ঘি কীভাবে তৈরি হয়?
ঘি সাধারণত দুধের সর থেকে তৈরি করা হয়। প্রথমে দুধের মাখন তৈরি করা হয় এবং পরে তা গরম করে তাতে থাকা পানি বাষ্পীভূত করা হয়। ফলে তৈরি হয় একটি ঘন, সুবাসিত ও মসৃণ প্রাকৃতিক চর্বি, যা ঘি নামে পরিচিত।
ঘি-এর পুষ্টিগুণ
ঘি পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। এতে রয়েছে:
- ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে: যেগুলো চোখ, হাড় এবং ত্বকের জন্য উপকারী।
- স্বাস্থ্যকর ফ্যাটি অ্যাসিড: যা হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে সহায়তা করে।
- ক্যালোরি: যা শরীরকে শক্তি যোগায় এবং দীর্ঘ সময় ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
ঘি-এর স্বাস্থ্য উপকারিতা
- হজমে সহায়ক
ঘি হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া উৎপন্ন করতে সহায়তা করে। এটি গ্যাস্ট্রিক সমস্যা কমাতে কার্যকর। - শক্তি বৃদ্ধি
ঘি শরীরে দ্রুত শক্তি জোগায়, বিশেষ করে যারা শারীরিক পরিশ্রম করেন তাদের জন্য এটি খুবই কার্যকর। - ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করা
ঘি-এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। - ত্বক ও চুলের যত্ন
প্রাচীন আয়ুর্বেদে ঘি ব্যবহার করা হতো ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল করার জন্য। এটি চুলের গোড়া মজবুত করে এবং খুশকি দূর করতে সহায়ক। - হার্টের জন্য উপকারী
স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকায় এটি হার্টের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভূমিকা রাখে, তবে পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।
ঘি-এর রান্নায় ব্যবহার
ঘি বিভিন্ন ধরনের খাবারে ব্যবহার করা হয়। এটি ভাত, রুটি বা নান রুটির সঙ্গে সরাসরি খাওয়া যায়। মিষ্টি তৈরি, বিরিয়ানি বা পোলাও রান্নায় ঘি একটি অপরিহার্য উপাদান। এছাড়া ডাল, সবজি এবং অন্যান্য ভাজাপোড়ায় ঘি ব্যবহার করলে খাবারের স্বাদ বহুগুণে বেড়ে যায়।
ঘি কেন খাবেন?
- এটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক এবং প্রিজারভেটিভমুক্ত।
- এটি পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে।
- রান্নার স্বাদ ও সুবাস বাড়ায়।
- এটি দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায় এবং সহজে নষ্ট হয় না।
শেষ কথাঃ
ঘি কেবল খাবারের একটি উপাদান নয়, এটি আমাদের প্রাচীন সংস্কৃতি এবং স্বাস্থ্য সচেতনতায় এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর পুষ্টিগুণ এবং স্বাস্থ্য উপকারিতার কারণে ঘি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখা যেতে পারে। পরিমিত মাত্রায় ঘি খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে এবং আপনি থাকবেন সুস্থ ও শক্তিশালী। তাই ঘি ব্যবহার করুন এবং এর উপকারিতা উপভোগ করুন।
পরিমাণ |
১ কেজি ,৫০০ গ্রাম |
---|
Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.
Reviews
Clear filtersThere are no reviews yet.